জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের নওগাম থানায় একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই পুলিশ ও ফরেনসিক বিভাগের সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, বিস্ফোরণের পর অল্প সময়ের মধ্যে থানার ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। থানার চত্বরে রাখা কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। আশপাশের বড় এলাকার মানুষ কম্পন অনুভব করেন। দ্রুত দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বিস্ফোরণের সময় জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ ও ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির একটি যৌথ দল উদ্ধার করা বিস্ফোরক পরীক্ষা করছিল। কয়েক দিন আগে হরিয়ানার ফরিদাবাদ এবং উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে তল্লাশি অভিযানে প্রায় ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক পদার্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর মধ্যে শুধু ফরিদাবাদ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছিল ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। বিস্ফোরকের ওই অংশ পরীক্ষার জন্য নওগাম থানায় রাখা হয়েছিল বলে জানা যায়।
ঘটনার সময় ফরেনসিক দলের কয়েকজন কর্মকর্তা পরীক্ষাকাজে উপস্থিত ছিলেন। ঠিক কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল, ত্রুটি কার, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে তদন্তকারীদের একটি অংশের ধারণা, উদ্ধার করা বিস্ফোরক দিল্লির লালকেল্লার সামনে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হতে পারে। ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত গাড়িটি ফরিদাবাদ থেকে এসেছে বলেও পাওয়া গেছে।
নওগাম থানার পুলিশই দিল্লি ঘটনার সম্ভাব্য জঙ্গি যোগাযোগ প্রথম চিহ্নিত করে। গত ১৯ অক্টোবর নওগাম এলাকায় জইশ-ই-মোহাম্মদের সমর্থনে পোস্টার পাওয়া গেলে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তদন্তের অগ্রগতিতে ১ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় ড. আদিল আহমদ রাথারকে এবং এরপর আরও একজন চিকিৎসক ড. মুজামিল আহমদ গণাই ওরফে মুসাইবকে। আদিল আহমদের স্বীকারোক্তি থেকে ফরিদাবাদে বিস্ফোরক মজুত থাকার তথ্য পাওয়া যায়।
বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।


