গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর নতুন করে পরিচালিত বিমান ও স্থল হামলায় অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৬ শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় হাসপাতালগুলো। এই হামলাকে হামাসের সঙ্গে কার্যকর যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) ইরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি জানায়, মঙ্গলবারের এই হামলায় গাজার বেশ কিছু আবাসিক ভবন লক্ষ্যবস্তু করা হয়। গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, উদ্ধারকর্মীরা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করছেন।
সংস্থার প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩০ জন, তবে আহতের সংখ্যা কয়েক ডজন ছাড়িয়েছে।
এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেনাদের “তাৎক্ষণিক ও শক্তিশালী পাল্টা হামলার” নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাফাহ এলাকায় হামাস ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালাচ্ছে।
হামাস এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করছে এবং চুক্তি ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, রাফাহ ক্রসিং বন্ধ রাখা এবং বন্দিদের লাশ উদ্ধারে বাধা দেওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের উদাহরণ।
চলতি মাসের শুরুতে মিশরে স্বাক্ষরিত সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার অংশ ছিল। ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই পরিকল্পনার লক্ষ্য গাজায় দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের অবসান ঘটানো।
হামাস জানিয়েছে, তারা চুক্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং ইসরাইলি বন্দি ও মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনিক ক্ষমতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তরে সম্মত। তবে ট্রাম্প ইসরাইলের ‘প্রতিক্রিয়ার অধিকার’ সমর্থন করে হামাসকে সতর্ক করেছেন যে, “যদি যথাযথ আচরণ না করা হয়, তবে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে।”
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি “অবিচল” রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলায় ব্যাপক প্রাণহানির খবর প্রকাশ করছে।


