ক্যারিবীয় দ্বীপদেশ জ্যামাইকায় ধেয়ে আসছে হারিকেন ‘মেলিসা’, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দপ্তর। সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে এটি সর্বোচ্চ শক্তির ক্যাটাগরি–৫ ঝড়ে পরিণত হয়। তখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭৫ মাইল বা প্রায় ২৮০ কিলোমিটার ছিল।
জ্যামাইকা সরকার নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া শুরু হলেও অনেকেই নিজ নিজ ঘর ছাড়তে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।
রাজধানী কিংস্টনের দক্ষিণে পোর্ট রয়্যাল শহরের এক হোটেল ব্যবস্থাপক জামাল পিটার্স বলেন, “জ্যামাইকানরা সাধারণত ঘরে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। দরজা-জানালা উড়ে গেলেও তাঁরা সেখানেই থাকবেন।”
পিটার্স জানান, “আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, তবে এটি আমাদের প্রথম ঝড় নয়। বেশির ভাগ মানুষ আগেই প্রস্তুত।”
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, হারিকেন ‘মেলিসা’ ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ হারিকেন গিলবার্ট–এর চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে। গিলবার্টে জ্যামাইকায় অন্তত ৪০ জন নিহত ও শত শত মানুষ আহত হয়েছিলেন।
তবে সতর্কতা সত্ত্বেও অনেকে পরিস্থিতি হালকাভাবে নিচ্ছেন। পোর্টল্যান্ডের বাসিন্দা রয় ব্রাউন বলেন, “হারিকেনটি ক্যাটাগরি–৬ হলেও আমি কোথাও যাব না। মৃত্যু থেকে পালানো যায় না।”
অন্যদিকে, মরান্ট বে প্রাইমারি স্কুলের আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক শেলি-অ্যান ম্যাককালা জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকেই মানুষ আশ্রয় নিতে আসছেন, তবে আগের বছরের তুলনায় এবার সংখ্যা কম।
এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজধানী কিংস্টনের বাসিন্দা ইশাক উইলমট বলেন, “আমাদের পরিবার ঝড় সামলাতে অভ্যস্ত। তবুও আমরা আশ্রয়ে এসেছি।”


