বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের স্বার্থ রক্ষাই হবে আগামী সরকারের প্রধান দায়িত্ব। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারাই ন্যায্য অধিকার আদায়ের শক্তি অর্জন করবে। তিনি বলেন, “নির্বাচিত সরকার না থাকলে সেই গুরুত্ব পাই না। আর জোর করে ক্ষমতায় থাকলে—হাসিনার সরকারের মতো—তাদের পক্ষেও কোনো দাবি আদায় সম্ভব হয় না। বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে এসব বিষয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে।”
শনিবার সকাল পৌনে ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীর ওপর ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই আমাদের ওপর দাদাগিরি বন্ধ করা। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তারা চাইলে সম্পর্ক আরও ভালো রাখতে পারে। স্বাধীনতার সময় তারা সহযোগিতা করেছে, এখন আরও করতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিগত সরকার ভারতের চাপে দেশকে ফেলেছে।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা দেশের প্রধান নদী। “পদ্মার পানি আটকে দিয়ে মানুষের জীবন–জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। তাই ‘পদ্মা বাঁচাও’ আন্দোলনের আয়োজন। আমরা মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চাই এবং এই আন্দোলন বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই।”
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক পরিবর্তনের প্রভাব বাড়ছে। নদী রক্ষা এবং পরিবেশ বাঁচানো না গেলে দেশকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।
শনিবার দুপুর ২টায় নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে বিএনপির ‘পদ্মা বাঁচাও’ গণসমাবেশ শুরু হবে। সেখানে যোগ দেবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


