নির্বাচনের আগে একটি রাজনৈতিক দল ইসলামকে ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলামকে বারবার ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে ইসলাম যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি জাতির ঐক্যও বিনষ্ট হচ্ছে।”
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত ‘আজমতে সাহাবা সম্মেলনে’ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কাসেমী পরিষদ আয়োজিত এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা মদিনার ইসলামে বিশ্বাসী— যে ইসলাম রাসুল (সা.) প্রবর্তন করেছেন এবং সাহাবায়ে কেরাম অনুসরণ করেছেন। আমরা মওদুদিবাদী ইসলামের অনুসারী নই। যারা ফিতনা তৈরি করে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়, তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে।”
যদিও তিনি কোনো দলের নাম উল্লেখ করেননি, তবে তার বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই সংবিধান সংস্কার ও গণভোট ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, “ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ইসলামবিদ্বেষী ও আলেমবিদ্বেষী রাজনীতি করেছে। শেখ হাসিনার সরকার মুসলিম বিদ্বেষী নীতি অনুসরণ করেছে, আলেমদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। জনগণ তাদের সেই রাজনীতি দেখেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ রাজনীতি হতে হবে আদর্শভিত্তিক। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও নৈতিক রাজনীতির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। এভাবেই দেশে সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হবে।”
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওলাদে রাসুল আল্লামা সাইদ আল হোসাইনী (পাকিস্তান), আল্লামা খলিল আহমাদ কুরাইশী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন, সদস্য আবু আল ইউসুফ ও সাবেক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার।


