বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতের মাটিতে বসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দলের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, “ভারত সরকারকে অনুরোধ করতে চাই, তারা যেন শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেয়। কারণ তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান সংকট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সৃষ্টি। তার ভাষায়, “মিথ্যা বলে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা উচিত নয়। জনগণকে বিভ্রান্ত করা এখন সরকারের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “একটি মহল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আড়াল করতে চায়। কিন্তু তা সম্ভব নয়। কারণ একাত্তরই আমাদের অস্তিত্বের মূলভিত্তি।”
তিনি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির সমালোচনা করে বলেন, “যারা মুক্তিযুদ্ধকে ‘গোলমাল’ বলেছিল, তারা আজও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু জাতি সেই অপশক্তিকে ভুলে যায়নি।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “অভ্যুত্থানের তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন হলে কোনো অপশক্তির মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ থাকত না। আমাদের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) হবে কি না, তা সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সংসদ। পিআর না হলে নির্বাচন হবে না— এমন বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।”


