বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গত কয়েক দিনে আরও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে তাঁর স্বাস্থ্য–সংক্রান্ত তথ্য প্রচারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান সাংবাদিকদের বলেন, “সিসিইউ থেকে আইসিইউ, আইসিইউ থেকে ভেন্টিলেশন—ম্যাডাম অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন। এর বাইরে বলার মতো কিছু নেই। আমরা শুধু জাতির কাছে দোয়া চাই।”
এর আগে চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক সংক্ষিপ্ত স্ট্যাটাসে লিখেন, “ম্যাডামকে আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আল্লাহর বিশেষ রহমত প্রার্থনা করি।” এই পোস্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ আরও বাড়ে।
এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, চেয়্যারপারসনের স্বাস্থ্য–সংক্রান্ত সব তথ্য চিকিৎসকেরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন। “চিকিৎসকেরা যে মুহূর্তে কোনো তথ্য দেবেন, আমরা তা জানিয়ে দেব। এর বাইরে অন্য কোনো সূত্র থেকে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য গণমাধ্যমকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি,” বলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদান নিশ্চিত করতে ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ছাড়া অন্য কারও বক্তব্য ব্যবহার না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। গুজব বা যাচাইহীন তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভারের জটিলতা, কিডনি কার্যকারিতা হ্রাসসহ নানা দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর অবস্থা ক্রমাগত জটিল হচ্ছে এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতা–কর্মীরা প্রতিদিনই হাসপাতালে এসে অবস্থান করছেন। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সবার উদ্বেগের বিষয় হলেও চিকিৎসার স্বার্থে তথ্য প্রচারে সংযম এবং দায়িত্বশীলতা এখন সবচেয়ে জরুরি।


