মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় গ্রেপ্তার ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ হাজির করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে ট্রাইব্যুনাল এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত সেনা, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
রোববার, ২৩ নভেম্বর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১–এ এসব মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এগুলোর আগে, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ তিন মামলায় মোট ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই প্রসিকিউশন ফরমাল চার্জ দাখিল করে।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা ১৫ কর্মকর্তাকে ২২ অক্টোবর সকালে সাধারণ পোশাকে বিশেষ প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং পরে তাদের ঢাকা সেনানিবাসের ঘোষিত সাব-জেলে স্থানান্তর করা হয়।
গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে করা পৃথক দুই মামলার পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য বাংলা ও ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। বিজ্ঞপ্তি ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
এ ছাড়া, পৃথক দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল-১।


