গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রস্তাবিত আইনে গুমের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং কঠোর দণ্ডবিধি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস।
এর আগে খসড়াটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আজ চূড়ান্ত অনুমোদনের পর অধ্যাদেশটি কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে।
বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, “অধ্যাদেশে গুম প্রতিরোধ ও এর শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অপরাধীদের জন্য কঠোরতম শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, গুমের মতো মানবাধিকারবিরোধী কর্মকাণ্ড রোধে সরকার দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। এই আইন কার্যকর হলে রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে জবাবদিহি বাড়বে এবং গুম-সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর গুমবিরোধী উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।


