জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের দেওয়া সাজা বাতিল করে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া এই রায় প্রকাশিত হয়েছে সোমবার (৪ নভেম্বর)।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এ রায় দেন। ৫৯ পৃষ্ঠার এই পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, আপিল বিভাগ সর্বসম্মতভাবে সব আপিল মঞ্জুর করেছে। ফলে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করা হয়। এ অনুযায়ী সব আপিলকারী অভিযোগ থেকে সম্পূর্ণ খালাস পান।
রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলার কার্যধারায় আইনের অপপ্রয়োগ হয়েছে এবং তা ‘বিদ্বেষপ্রসূত প্রসিকিউশন’-এর শামিল। আপিল বিভাগ স্পষ্ট করে জানায়, এ রায়ের প্রভাব তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, যারা আপিল করতে পারেননি।
রায় অনুযায়ী, এ সিদ্ধান্ত অভিযুক্তদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করবে এবং তাদের নির্দোষ প্রমাণ করবে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে চলমান সব অযৌক্তিক কার্যধারারও অবসান ঘটবে।
এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর ও তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন। পরে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।
খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ পরবর্তীতে পৃথকভাবে আপিল করেন। তাদের আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ গত ১৫ জানুয়ারি খালাসের রায় দেন, যা এখন পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকাশিত হলো।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৮ সালের ৩ জুলাই খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিল। অন্য অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও ব্যবসায়ী মমিনুর রহমান।


