ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
গত ২১ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব সাইফুল্লাহ পান্না স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে জারি করা আগের নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা ঘটছে। একই সময়ে অনেক উপদেষ্টা ও সচিব একসঙ্গে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন, যা সরকারি নির্দেশনার পরিপন্থি।
পরিপত্রে বলা হয়, “ইতঃপূর্বে জারি করা সকল বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। এখন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবদের উদ্দেশে চিঠি পাঠিয়ে এ নির্দেশনা কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০২৫ সালের ৮ জুলাই অর্থ বিভাগ বিদেশ ভ্রমণ সীমিতকরণের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়। এছাড়া, গত বছরের ৯ ডিসেম্বরও সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করতে ১৩ দফা নির্দেশনা জারি করেছিল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
সেই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল— সাধারণ বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা, মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ভ্রমণ ডেটাবেজ তৈরি করা, উপদেষ্টা ও সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের একসঙ্গে ভ্রমণ এড়ানো এবং শুধুমাত্র ‘জাতীয় স্বার্থে’ অপরিহার্য ভ্রমণ অনুমোদন করার কথা।
এছাড়া, বিদেশে সেমিনার বা ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তার প্রাসঙ্গিকতা, প্রয়োজনীয়তা এবং অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিদের স্তর সম্পর্কে তথ্য সংযুক্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
সরকারি অর্থে কম প্রয়োজনীয় বা বিনোদনমূলক ভ্রমণ, দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষণ ছুটি এবং অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর পরিহারের নির্দেশ পুনর্ব্যক্ত করেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারি কার্যক্রমে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং সরকারি ব্যয় ও বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারে শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।


