সঞ্চয়ের নিরাপদ ও সহজ মাধ্যম হিসেবে বহু বছর ধরে প্রাইজবন্ড জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। মাত্র ১০০ টাকায় প্রাইজবন্ড কিনে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা জেতার সুযোগ থাকায় এটি অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত।
১৯৭৪ সালে সমাজে সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ প্রাইজবন্ড’ চালু করে সরকার। এটি যেকোনো সময় কেনা ও ভাঙানো যায়, যা সঞ্চয়কারীদের জন্য আরও সুবিধাজনক করেছে।
আজ রবিবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে প্রাইজবন্ডের ১২১তম ড্র। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, এই ড্র অনুষ্ঠিত হবে ‘সিঙ্গেল কমন ড্র’ পদ্ধতিতে।
প্রতি সিরিজে মোট ৪৬টি পুরস্কার থাকবে—এর মধ্যে ছয় লাখ টাকার একটি, তিন লাখ ২৫ হাজার টাকার একটি, এক লাখ টাকার দুটি, ৫০ হাজার টাকার দুটি এবং ১০ হাজার টাকার ৪০টি পুরস্কার। আগামীকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এই ড্রয়ের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, ড্রয়ের নির্ধারিত তারিখ থেকে ৬০ দিন আগে বিক্রিত প্রাইজবন্ডগুলোই সংশ্লিষ্ট ড্রয়ের আওতায় আসে। আয়কর আইন, ২০২৩-এর ১১৮ ধারার নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রাইজবন্ডে পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থের ওপর ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটা হবে।
প্রতি বছর চার দফায়—৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই এবং ৩১ অক্টোবর—প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত দিনটি সরকারি ছুটি হলে পরবর্তী কার্যদিবসে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১০০ টাকার প্রাইজবন্ডের ১২০তম ড্র।


