পাবলিক রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) নিয়ে দীর্ঘদিন সোচ্চার থাকা একটি রাজনৈতিক দল এখন সুর নরম করে নির্বাচনের দিকে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জান্নাতের টিকিট বিক্রির ভাষণ দিয়ে ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা ইসলামের শিক্ষা নয়।
শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কেয়ারটেকারদের আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত থাকলে সব ধর্ম–বর্ণের মানুষের অধিকার নিশ্চিত হয়। কিন্তু গণতন্ত্র অনুপস্থিত থাকায় মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। তার অভিযোগ, পূর্ববর্তী সরকার শুধু রাজনৈতিক অধিকার নয়, মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতাও সীমিত করেছিল।
তিনি বলেন, ‘হাসিনা সব মানুষের অধিকারে পাশাপাশি ধর্ম পালনের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। অথচ সে সময়ে কিছু আলেম তাকে কওমি জননী উপাধি দিয়েছিল।’ তার দাবি, ওই সরকারের অধীনে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করা হয়েছিল।
বিএনপি কোনো সময় আড়ালের রাজনীতি করেনি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগবিরোধী দৃশ্যমান আন্দোলনে কিছু পক্ষের অনুপস্থিতি ছিল স্পষ্ট। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু গোষ্ঠী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের আড়ালে সক্রিয় ছিল, তবে প্রকাশ্য আন্দোলনে যুক্ত হয়নি।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে পরিবর্তন ঘটছে। প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন। সংস্কারের জন্য বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ বিদেশ থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ার শেষ দিকে যে পিআর কাঠামোর কথা বলা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের জন্য তা বোঝা আরও কঠিন।
গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি ব্যালটে চারটি প্রশ্ন থাকলে সাধারণ ভোটার শেষ সময় পর্যন্তও বুঝতে পারবে না কোনটি কীভাবে দিতে হবে।


