আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) লটারির মাধ্যমে বদলির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ দাবি তুলে ধরেন। সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, সম্প্রতি প্রশাসনে কয়েকটি আকস্মিক রদবদল হয়েছে। এতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পরিকল্পনার আভাস পাওয়া যায়। তিনি উল্লেখ করেন, তফসিলের পর প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের হাতে আসে। তাই লটারির মাধ্যমে বদলি হলে কোনো প্রশ্ন থাকে না এবং নিরপেক্ষতার নিশ্চয়তা বাড়ে।
তিনি বলেন, আগের কয়েকটি কমিশনের সময় তফসিল ঘোষণার পর একদিনে সব ডিসি–এসপি বদলির ধারা দেখা গেছে। এতে আস্থা তৈরি হয়েছিল এবং অভিযোগ ছিল না। এখনকার রদবদলকে তিনি পরিকল্পিত উদ্দেশ্যের অংশ হিসেবে দেখছেন বলে মন্তব্য করেন।
জামায়াত নেতার দাবি, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবার গণভোট ও জুলাই সনদের প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট হলে ভোটাররা প্রয়োজনীয় বিষয় বুঝতে না পারায় সমস্যায় পড়তে পারেন। তিনি বলেন, আগে গণভোট হলে ভোটাররা পরিবর্তনের বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারতেন।
তিনি নির্বাচনকালীন আচরণবিধির কয়েকটি বিষয় পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান। তার অভিযোগ, নির্বাচনি এলাকায় লাউডস্পিকার ব্যবহারের সীমা তিনটিতে নামানো প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা তৈরি করতে পারে। বড় এলাকায় প্রচারণা চালাতে বেশি লাউডস্পিকার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ভোটার তালিকার ছবির মান খুবই নিম্নমানের। এতে ভোটার শনাক্তে সমস্যা হয়। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে একজন সেনা সদস্য থাকলে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ থাকে না। প্রতিটি কেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন সেনা সদস্য মোতায়েনের দাবি জানান তিনি। তার মতে, এতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং ভোটারদের সাহস বৃদ্ধি পায়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথাও জানতে চান তিনি।


