আগামীকাল (শুক্রবার) মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও অবিলম্বে গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত না এলে আগামী মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ঢাকায় “জনস্রোত” সৃষ্টি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি ইসলামি দল।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রায় পুলিশি বাধার পর রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে এ ঘোষণা দেন নেতারা। তারা বলেন, “জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন বাংলাদেশের মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। আগে গণভোট দিতে হবে, তার আগে জুলাই সনদের বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে।”
এ সময় যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে একটি ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়। যমুনার ভেতরে বৈঠক চলাকালে নেতাকর্মীরা মৎস্য ভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে স্লোগান দেন।
সমমনা আট দলের নেতারা বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব তিনটি—বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।” তারা আশা প্রকাশ করেন, “আগামীকালই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও গণভোটের তারিখ ঘোষণা করা হবে। অন্যথায় ১১ নভেম্বর ঢাকায় জনতার মহাসমুদ্র তৈরি হবে।”
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে পুরানা পল্টন মোড় থেকে যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করে ইসলামি দলগুলো। পদযাত্রা মৎস্য ভবন এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে প্রতিনিধিদলটি স্মারকলিপি নিয়ে যমুনায় যায়।
দলগুলোর পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন।
২. জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।
৪. পূর্ববর্তী সরকারের ‘জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির’ বিচার নিশ্চিত করা।
৫. জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।
যুগপৎ আন্দোলনে থাকা আটটি ইসলামি দল হলো—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।


