বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বৈদেশিক নিয়োগে অসম সুযোগ পাওয়ার অভিযোগের পর এবার বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্টদের জন্য অভিন্ন মানদণ্ড ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া সরকার।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া তৃতীয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মালয়েশিয়া পক্ষ জানায়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের রিক্রুটিং এজেন্টদের একই মানদণ্ডে যাচাই করা হবে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বৈধ ও অভিজ্ঞ রিক্রুটিং এজেন্টদের সমান সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছিল। সেই প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ‘রিক্রুটিং এজেন্ট সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া’ পাঠিয়েছে।
নির্ধারিত ১০টি শর্ত হলো —
১. অন্তত পাঁচ বছর সন্তোষজনকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
২. গত পাঁচ বছরে কমপক্ষে তিন হাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর প্রমাণ থাকতে হবে।
৩. অন্তত তিনটি ভিন্ন দেশে কর্মী প্রেরণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৪. প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিয়োগ সংক্রান্ত বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।
৫. সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সদাচরণের সনদ থাকতে হবে।
৬. মানবপাচার, অর্থপাচার বা জোরপূর্বক শ্রমের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা থাকা চলবে না।
৭. নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কেন্দ্র থাকতে হবে, যেখানে আবাসন ও কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।
৮. অন্তত পাঁচজন আন্তর্জাতিক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে প্রশংসাপত্র থাকতে হবে।
৯. কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব স্থায়ী অফিস থাকতে হবে।
১০. পূর্ববর্তী নিয়োগে আইনসম্মত প্রক্রিয়া অনুসরণের প্রমাণ দিতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব শর্ত পূরণে সক্ষম বৈধ লাইসেন্সধারী রিক্রুটিং এজেন্টরা আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দিতে পারবেন।


