সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন পে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত আগামী সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কেবল প্রাথমিক প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নতুন সরকারের ওপরই নির্ভর করবে।
রোববার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। চালের দাম এখন সহনীয় পর্যায়ে আছে। তবে খাদ্য বহির্ভূত খাতে—বিশেষ করে যাতায়াত ও বাড়িভাড়ার খরচ বেড়েছে।’
বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, ইউরিয়া ও টিএসপি সার আমদানির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেদ্ধ চাল আমদানির উদ্যোগও চলছে। খাদ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে সরকার সচেষ্ট বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করবে সরকার। এবার প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ টাকা, আতপ চাল ৪৯ টাকা এবং সিদ্ধ চাল ৫০ টাকা। সরকারের লক্ষ্য—৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ও আতপ চাল এবং ৬ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ।
আইএমএফের ঋণ বিষয়ে মন্তব্য
আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচির বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ৬ষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরই হবে। তিনি জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের একটি দল বাংলাদেশে এসে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে এবং এরপরই পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেবে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আইএমএফকে জানিয়েছি, এখনই নতুন ঋণ কিস্তির প্রয়োজন নেই। নির্বাচিত সরকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই চূড়ান্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইএমএফ রাজস্ব আয় বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছে। আগামী সরকারকে এই সব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দিয়ে যাবে বর্তমান প্রশাসন।’