শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’র প্রভাবে টানা ভারী বর্ষণ ও ভয়াবহ ভূমিধসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। নিম্নাঞ্চলসহ রাজধানী কলম্বোর বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ২১২ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২১৮ জন। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মধ্যাঞ্চল। ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছ এবং ভূমিধসে সড়কগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকর্মীদের তৎপরতা জটিল হয়ে পড়েছে। তবে ধ্বংসস্তূপ সরানো শুরু করায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ধীরে ধীরে সামনে আসছে।
ডিএমসি জানিয়েছে, প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১,২৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন প্রায় দুই লাখ মানুষ। কেলানি নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় শনিবার থেকে কলম্বোর উত্তরাঞ্চল তলিয়ে যায় এবং প্রশাসন বাধ্যতামূলক উচ্ছেদ নির্দেশ জারি করে।
ডিএমসি আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড় মূল এলাকা থেকে সরে গেলেও উজান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতে নতুন করে বন্যা দেখা দিচ্ছে। একই সঙ্গে ত্রাণ–উদ্ধার অভিযানও চলছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ২৪ হাজারের বেশি সদস্য পানিবন্দী পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
দ্বীপের পূর্বাংশে মাভিল আরু জলাধারের বাঁধ ভেঙে প্লাবন সৃষ্টি হওয়ায় বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারে করে ১২০ জনেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে। সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, আরও প্রায় দুই হাজার মানুষকে নিরাপদ উঁচু স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানী কলম্বোতে স্বাভাবিক পানি নামতে আরও একদিন সময় লাগতে পারে। এর মধ্যে আবহাওয়া বিভাগ শুষ্ক আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ ইতোমধ্যে ভারতের দিকে সরে গেছে।


