চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও–বোয়ালখালী) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় সারোয়ার হোসেন বাবলা (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন হামজারবাগ চালিতাতলী এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলে করে আসা চারজন দুর্বৃত্ত হঠাৎ করে এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগের সময় পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এতে এরশাদ উল্লাহ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এরফানুল হক শান্ত গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁদের দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। গুলিবিদ্ধ আরেকজন—সারোয়ার হোসেন বাবলাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সারোয়ার শিবির নামধারী একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রবাজিসহ প্রায় ১৯টি মামলা রয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় শিবির আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুটি গ্রুপের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে এ হামলা হয়ে থাকতে পারে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, “গুলিবর্ষণের ঘটনায় একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। কারা এ হামলার পেছনে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজিমুর রহমান বলেন, “এই হামলার পেছনে জামায়াত–শিবির জড়িত। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করছি।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।”
ঘটনার পর হাসপাতালে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মী জড়ো হন। আহতদের স্বজনরাও সেখানে ভিড় করেন। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্যান্য প্রার্থীর মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দেয়।


