কোম্পানির হাতে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ইজারার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এই অনশন শুরু হয়।
স্কপের নেতারা জানান, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও বিদেশি কোম্পানির ব্যবসায়িক স্বার্থে এটি হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তারা দাবি করেন, আন্তর্জাতিক স্বার্থ ও সাম্রাজ্যবাদী চক্রের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিউমুরিং টার্মিনাল এবং লালদিয়ার চর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
নেতারা অভিযোগ করেন, বিনা প্রতিরোধে এই চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বন্দর এলাকায় এক মাসের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। তারা প্রশ্ন তোলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার বিনা টেন্ডারে ডিপি ওয়ার্ল্ডকে টার্মিনাল দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল। গণঅভ্যুত্থানের পরও বর্তমান সরকার কেন সেই পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে?”
শ্রমিক নেতারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিবছর আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি লাভ করছে। তবু বিদেশি কোম্পানির হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার আগে তাদের মুনাফা নিশ্চিত করতে সরকার বন্দরের ট্যারিফ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো ন্যায্যতা নেই বলেও তারা দাবি করেন।
তারা আরও বলেন, দেশের একমাত্র প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এর নিয়ন্ত্রণ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে গেলে তা সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গণমুক্তি ইউনিয়নের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজা মিঞা, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি খোরশেদ আলম, স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক অ্যাড. শফি উদ্দিন কবির আবিদ, বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সেক্রেটারি ইব্রাহিম খাকন, এবং ডক শ্রমিক দলের সেক্রেটারি আখতারউদ্দিন সেলিমসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা।


