চব্বিশ সালের জুলাই–আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণা করা হয়।
দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল–১ এর তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী ছয় অধ্যায়ে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পাঠ শুরু করেন। চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন প্যানেলে আরও ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ। সংক্ষিপ্ত দুই ঘণ্টা দশ মিনিটের রায় পাঠ শেষে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে আল-মামুনের বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি ছিলেন সাবেক আইজিপি আল-মামুন। দোষ স্বীকার করে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে গুরুত্বপূর্ণ জবানবন্দি দেন। তাঁর সহযোগিতা ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি নির্ধারণে বিশেষ বিবেচনা করা হয় বলে ট্রাইব্যুনাল জানায়।
এ মামলার প্রধান দুই আসামি—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল—পলাতক রয়েছেন। মামলার পাঁচ অভিযোগের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার, নিরস্ত্র নাগরিক হত্যার নির্দেশ এবং বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ।
রায়কে ঘিরে ট্রাইব্যুনাল ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সকাল থেকেই দোয়েল চত্বর–শিক্ষাভবন এলাকার যান চলাচল সীমিত রাখা হয়।


