ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একাধিক সংসদ সদস্য। প্রার্থীদের নিরাপত্তা, চলাফেরার স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের বিষয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিদেশি আইনপ্রণেতাদের এমন অবস্থান পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারেক রহমান।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নির্বাচনী অখণ্ডতা বিষয়ে যে অস্ট্রেলিয়ান এমপিরা স্পষ্টতা এবং বিবেকের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁদের প্রতি আমি এবং অনেক বাংলাদেশি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁদের হস্তক্ষেপ সর্বজনীন গণতান্ত্রিক নীতি এবং বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের প্রতি গভীর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।”
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তা এবং একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। “মানুষ স্থিতিশীলতা, ন্যায়বিচার এবং বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সুযোগ চায়,”—বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সবার নিরাপত্তা, মর্যাদা ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের জনগণের অভিলাষের প্রতিধ্বনি। তাঁর মতে, সহিংসতামুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।
অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের অবদান নিয়েও কথা বলেন তিনি। তাঁদের আন্তরিকতা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টের শেষে তারেক রহমান একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেন, যেখানে লেখা ছিল—“তারেক রহমানের নিরাপত্তা চান অস্ট্রেলিয়ান এমপি অ্যাবিগেল বয়েড।”
এর আগে, নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) পার্লামেন্টের সদস্য অ্যাবিগেল বয়েড দেশটির আইনসভায় একটি নোটিশ অব মোশন জমা দেন। এতে তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে অনিশ্চয়তা, সহিংসতা ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা পরিস্থিতিকে বিপজ্জনক করে তুলেছে। তিনি অস্ট্রেলিয়া সরকারকে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
তার দাবি অনুযায়ী, তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা, চলাচলের স্বাধীনতা, আন্তর্জাতিক তদন্ত সহযোগিতা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার এবং প্রবাসীদের ডাকভোট নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য করা প্রয়োজন।


