আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ আর থাকছে না। এ লক্ষ্যেই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) যুক্ত করা হয়েছে ‘না ভোট’ বিধান। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে রাষ্ট্রপতি গণপ্রতিনিধিত্ব (আরপিও) অধ্যাদেশ জারি করেন। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রকাশ করা হয়।
নতুন এই বিধান অনুযায়ী, কোনো আসনে যদি মাত্র একজন প্রার্থী থাকেন, তবু সেই আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটাররা চাইলে ব্যালটে ‘না ভোট’ দিতে পারবেন। কোনো প্রার্থী যদি ‘না ভোট’-এর চেয়ে বেশি ভোট পান, তবে তাকেই নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। তবে ‘না ভোট’ বেশি হলে ওই আসনে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর যদি কোনো নির্বাচনি এলাকায় কেবল একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, তাহলে নির্বাচন হবে। ওই প্রার্থীও ‘না ভোট’-এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে দ্বিতীয়বার নির্বাচনেও যদি একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, তাহলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে।
এ ছাড়া নতুন বিধান অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী যদি মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন, তবে আপিলের নির্ধারিত সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিংবা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে না।
সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ১৫৪ জন প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার ‘না ভোট’ বিধান সংযোজন করা হয়েছে, যাতে ভোটাররা তাদের মত প্রকাশের সুযোগ পান এবং বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সংস্কৃতি বন্ধ হয়।


